Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি বিধান

প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি বিধান

 

 

ইউনিয়ন পরিষদ আইন

 

 

 

 

ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

      যেহেতু, ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

      সেহেতু, এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

 

 

 

প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক

 

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন প্রয়োগ

১। (১) এই আইন স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবেঃ

তবেশর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন নির্দিষ্টএলাকাকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের সকল বা কোন বিধানেরপ্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৩) ইহা অবিলম্বে কাযর্কর হইবে।

 

সংজ্ঞা

২। -বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১) 'আইন প্রয়োগকারী সংস্থা' অর্থ পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব), আনসার বাহিনী, ব্যাটালিয়ান আনসার, বাংলাদেশ রাইফেলস, কোস্ট গার্ড বাহিনী এবং প্রতিরৰা কর্মবিভাগসমূহ;

(২) 'আচরণ বিধিমালা' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত আচরণ বিধিমালা;
(৩) 'আর্থিক প্রতিষ্ঠান' অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নংআইন) এর ধারা ২ এবং অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর ধারা ২এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(৪) 'ইমারত' অর্থে কোন দোকান, বাড়িঘর, কুঁড়েঘর, বৈঠকঘর, চালা, আস্তাবল বা যে কোন প্রয়োজনে যে কোনদ্রব্যাদি সহযোগে নির্মিত কোন ঘেরা, দেয়াল, পানি-সংরক্ষণাগার, বারান্দা, প্ল্যাটফর্ম, মেঝে ও সিঁড়িও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৫) 'ইউনিয়ন' অর্থ এই আইনের ধারা ১১ এর অধীন ইউনিয়ন হিসাবে ঘোষিত পলস্নী এলাকা এবং বিদ্যমান ইউনিয়নসমূহ;
(৬) 'ইউনিয়ন পরিষদ' অর্থ এই আইনের ধারা ১০ এর অধীন গঠিত একটি ইউনিয়ন পরিষদ;
(৭) 'উপজেলা' অর্থ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪ নং আইন) এর অধীনে উপজেলা হিসাবে ঘোষিত এলাকা এবং বিদ্যমান উপজেলাসমূহ;
(৮) 'উপজেলা পরিষদ' অর্থ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪ নং আইন) এর অধীনে গঠিত উপজেলা পরিষদ;
(৯) 'উপজেলা নির্বাহী অফিসার' অর্থ একটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার;
(১০) 'ওয়ার্ড' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড;
(১১) 'কর' অর্থ কোন কর, উপ-কর, রেইট, টোল, ফি, শুল্ক অথবা এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য কোন করও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১২) 'গ্রাম এলাকা' অর্থ শহর হিসাবে ঘোষিত নয় এইরূপ এলাকা;
(১৩) 'চেয়ারম্যান' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান;
(১৪) 'জনপথ' অর্থ সর্বসাধারনের ব্যবহার্য পথ, রাস্তা ও সড়ক;
(১৫) 'জনসংখ্যা' অর্থ সর্বশেষ আদমশুমারিতে উলিস্নখিত জনসংখ্যা;
(১৬) 'জমি' অর্থ নির্মাণাধীন বা নির্মিত অথবা জলমগ্ন যে কোন জমি;
১৭। 'জেলা' অর্থ District Act, 1836 (Act No. 1 of 1836) এর অধীন সৃষ্ট জেলা;
(১৮) 'ডেপুটি কমিশনার' অর্থে এই আইনের অধীন সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে নিয়োগকৃতকোন কর্মকর্তাকে বুঝাইবে যিনি ডেপুটি কমিশনারের সকল কিংবা যে কোন কার্যপালন করিবেন;
(১৯) 'তফসিল' অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;
(২০) 'তহবিল' অর্থ ধারা ৫৩ এর অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল;
(২১) 'থানা' অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) এর বিধান অনুযায়ী গঠিত পুলিশ স্টেশন;
(২২) 'দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা' অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার বাতৎকর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা;

(২৩) 'নগর এলাকা' অর্থ নগর হিসাবে ঘোষিত এলাকা;

(২৪) 'নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ' অর্থ সরকার বা এই আইনের কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণকল্পে সরকার কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত যে কোন সরকারি কর্মকর্তা;

(২৫) "নির্ধারিত পদ্ধতি' অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি।

(২৬) 'নির্বাচন কমিশন' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন;

(২৭) 'নির্বাচন পর্যবেক্ষক' অর্থ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা, যাহাকে নির্বাচন কমিশনবা এতদুদ্দেশ্যে তদকর্তৃক অনুমোদিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোননির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য লিখিতভাবে অনুমতি দেওয়া হইয়াছে;

(২৮) 'নির্ভরশীল' অর্থ প্রার্থীর স্বামী বা স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, সৎছেলে-মেয়ে, পিতা, মাতা, ভাই বা বোন যিনি প্রার্থীর উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল;

(২৯) 'নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ' অর্থে দণ্ড বিধি, ১৮৬০ (Penal Code, 1860) এসংজ্ঞায়িত চাঁদাবাজি, চুরি, সম্পত্তি আত্নসাৎ, বিশ্বাস ভংগ, ধর্ষণ, হত্যা, খুন এবং Prevention of Corruption Act, 1947 (Act.II of 1947) এ সংজ্ঞায়িত Criminal Misconduct ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৩০) 'পথ' অর্থেজনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হোক বা না হোক পায়ে চলার এমন পথ, মাঠ, বহিরাঙ্গন বা চলাচলের রাস্তা বা সড়কও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৩১) 'পরিষদ' অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদ;

(৩২) 'প্রবিধান' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

(৩৩) 'বাজার' অর্থ এমন কোন স্থান যেখানে জনগণ মাছ, মাংস, ফল-মূল, শাক-সবব্জী বাঅন্য যে কোন খাদ্য দ্রব্য বিক্রয় ও ক্রয়ের জন্য সমবেত হয় অথবা পশু বাগরু-ছাগল ও পশু-পক্ষী ক্রয়-বিক্রয় হয় এবং এমন কোন স্থান যাহা বিধি মোতাবেকবাজার হিসাবে ঘোষণা করা হইয়াছে;

(৩৪) 'বাজেট' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের একটি আর্থিক বৎসরের আয় ও ব্যয়ের নির্ধারিত আর্থিক বিবরণ;

(৩৫) 'বার্ষিক মূল্য' অর্থ কোন গৃহ বা জমি প্রতি বছর ভাড়া দিয়া প্রাপ্ত অথবা প্রাপ্য মোট টাকা;

(৩৬) 'বিধি' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(৩৭) 'ব্যাংক' অথ

(ক) ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ধারা ৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী;


(খ) The Bangladesh Shilpa Rin Sangstha Order, 1972 (P.O.No. 128 of 1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা;

(গ) The Bangladesh Shilpa Bank Order, (P.O. No. 129 of 1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক;

(ঘ) The Bangladesh House Building Finance Corporation Order, 1973 (P.O. No.17 of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্সকর্পোরেশন;

(ঙ) The Bangladesh Krishi Bank Order, 1973 (P.O. No. 27 of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক;
(চ) The Investment Corporation of Bangladesh Ordinance, 1976 (Ordinance No. XL of 1976) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ;
(ছ) The Rajshahi Krishi Unnayan Bank Ordinance, 1986 (Ordinance No.LVIII of 1986) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক; বা
(জ)কোম্পানী আইন ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Basic Bank Limited (Bangladesh Small Industries and Commerce Bank Limited);
(৩৮) 'মৌজা' অর্থ কোন নির্দিষ্ট এলাকা যাহা ভূমি জরিপের মাধ্যমে কোন জেলারভূমি সংক্রান্ত দলিলে মৌজা হিসাবে লিপিবদ্ধ ও সংজ্ঞায়িত;
(৩৯) 'রাস্তা' অর্থে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত নয় এমন রাস্তাও ইহার অনত্দর্ভুক্ত হইবে;
(৪০) 'লাভজনক পদ' (Office of profit) অর্থ প্রজাতন্ত্র কিংবা সরকারী সংবিধিবদ্ধকতৃর্পক্ষ কিংবা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ও যে সকল কোম্পানীতে সরকারের ৫০%এর অধিক শেয়ারের মালিকানা আছে সে সকল কোম্পানীতে সাবর্ক্ষণিক বেতনভুক্তঅফিস, পদ বা অবস্থান;
(৪১) 'সংক্রামক ব্যাধি' অর্থে এমন ব্যাধি যাহাএকজন ব্যক্তি হইতে অন্য ব্যক্তিকে সংক্রামিত করে এবং সরকার কর্তৃক সরকারিগেজেটে প্রকাশিত অন্য যে কোন ব্যাধিও ইহার অনত্দর্ভুক্ত হইবে;
(৪২) 'সংবিধান' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান;
(৪৩) 'সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের১৫২(১) অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ;
(৪৪) 'সদস্য' অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য;
(৪৫) 'সরকার' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার;
(৪৬) 'সরকারি রাস্তা' অর্থ সরকার কিংবা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য কোনকর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষণাবেৰণাধীন জনসাধারণের চলাচলের জন্য সকল রাস্তা;
(৪৭) 'স্থানীয় কর্তৃপক্ষ' অর্থ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোন বিধিবদ্ধ সংস্থা;
(৪৮) 'স্থায়ী কমিটি' অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ী কমিটি;
(৪৯) 'হাট' অর্থ পণ্যসামগ্রী, খাদ্য, মালামাল, পশুসমপদ, ইত্যাদি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন ও সময়ে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।

 

 

 

 

দ্বিতীয় অধ্যায়
ওয়ার্ড

 

ওয়ার্ড গঠন

৩। (১) ইউনিয়ন পযার্য়ে সংরক্ষিত আসন ব্যতিরেকে সাধারণ সদস্য নিবার্চনের জন্য ইউনিয়নকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করিতে হইবে।

(২) সংরক্ষিত আসনে সদস্য নিবার্চনের উদ্দেশ্যে একটি ইউনিয়নকে ৩ (তিন) টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করিতে হইবে।

 

ওয়ার্ড সভা

৪। (১) এই আইনের অধীন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ওয়ার্ড সভা গঠন করিতে হইবে।

(২) প্রত্যেক ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় অন্তভুর্ক্ত ব্যক্তিগণের সমন্বয়ে ঐ ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সভা গঠিত হইবে।

 

 

 

 

ওয়ার্ড পর্যায়ে উম্মুক্ত সভা

৫। (১) প্রত্যেক ওয়ার্ড সভা উহার স্থানীয় সীমার মধ্যে বৎসরে কমপক্ষে ৩ (তিন) টি সভা অনুষ্ঠিত করিবে যাহার একটি হইবে বাৎসরিক সভা।

(২) ওয়ার্ড সভার কোরাম সবর্মোট ভোটার সংখ্যার বিশ ভাগের একভাগ দ্বারা গঠিত হইবে;

তবে মূলতবী সভার জন্য কোরাম আবশ্যক হইবে না, যাহা সাত দিন পর একই সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে।

(৩)ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠানের অন্যূন সাতদিন পুর্বে যথাযথভাবে সহজ ওগ্রহণযোগ্য উপায়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করিবে; মূলতবী সভার ক্ষেত্রেও অনুরুপগণবিজ্ঞপ্তি জারি করিতে হইবে।

(৪) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ার্ডসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যসভাপতি হিসাবে উক্ত সভা পরিচালনা করিবেন।

(৫) সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য ওয়ার্ড সভার উপদেষ্টা হইবেন।

(৬)ওয়ার্ড সভায় ওয়ার্ডের সাবির্ক উন্নয়ন কাযর্ক্রমসহ অন্যান্য বিষয়সমূহপযার্লোচনা করা হইবে; বার্ষিক সভায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য বিগত বৎসরেরবার্ষিক প্রতিবেদন এবং আর্থিক সংশ্লেষসহ ওয়ার্ডের চলমান সকল উন্নয়নকাযর্ক্রম সম্পর্কে অবহিত করিবেন এবং ওয়ার্ড সভার কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকরা সম্ভব না হইলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য এবং পরিষদের চেয়ারম্যান উহারযৌক্তিকতা ওয়ার্ড সভায় উপস্থাপন করিবেন।

 

 

ওয়ার্ড সভার ক্ষমতা, কার্যাবলী, ইত্যাদি

৬। (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে ওয়ার্ড সভার নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা, কার্যাবলী ও অধিকার থাকিবে, যথা :-
(ক) ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্যাদি সংগ্রহ ও বিন্যস্তকরণে সহায়তা প্রদান;
(খ) ওয়ার্ড পযার্য়ে প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত এবং বাস্তবায়নযোগ্য স্কীম ও উন্নয়ন কর্মসূচির অগ্রাধিকার নিরূপণ;

(গ)নির্ধারিত নির্ণায়কের ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির উপকারভোগীদেরচূড়ান্ত অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত ও ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হস্তান্তর;
(ঘ) উন্নয়ন প্রকল্প কাযর্করভাবে বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয়ভাবে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান;
(ঙ) স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে স্থানীয় উন্নয়ন কাযর্ক্রম এবং সেবামূলক কাযর্ক্রম বাস্তবায়নে উৎসাহ প্রদান ও সহায়তাকরণ;
(চ)রাস্তার বাতি, নিরাপদ পানির উৎস ও অন্যান্য জনস্বাস্থ্য ইউনিট, সেচসুবিধাদি এবং অন্যান্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্প স্থান বা এলাকা নির্ধারণেরজন্য পরিষদকে পরামর্শ প্রদান;
(ছ) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, পরিবেশসংরক্ষণ, বৃক্ষ রোপণ, পরিবেশ দূষণ রোধ, দুনীর্তিসহ অন্যান্য সামাজিকঅপকর্মের বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা;
(জ) ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণী ওপেশার লোকের মধ্যে ঐক্য ও সুসম্পর্ক সৃষ্টি করা, সংগঠন গড়ে তোলা এবংবিভিন্ন প্রকার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা;
(ঝ) ওয়ার্ডের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত উপকারভোগী শ্রেণী বা গোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ, তদারক ও সহায়তা প্রদান;
(ঞ) সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচিভুক্ত (যেমন, বয়স্কভাতা, ভর্তুকি, ইত্যাদি) ব্যক্তিদের তালিকা যাচাই ও মূল্যায়ন;
(ট) ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়নযোগ্য কাজের প্রাক্কলন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদি সংরক্ষণ;
(ঠ) সম্পাদিতব্য কাজ ও সেবাসমূহের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ;
(ড) পরিষদ কতৃর্ক ওয়ার্ড সংক্রান্ত বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের যৌক্তিকতাসমূহ অবহিত হওয়া;
(ঢ)ওয়ার্ড সভা কতৃর্ক গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পযার্লোচনাকরা এবং কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করা;
(ণ)জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কাযর্ক্রম, বিশেষত: বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ এবংপরিবার পরিকল্পনা কাযর্ক্রমে সক্রিয় সহযোগিতা করা; স্যানিটেশন কাযর্ক্রমেরসঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্রেস্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান;

(ত) ওয়ার্ডের বিভিন্নএলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ, রাস্তা আলোকিতকরণ ও অন্যান্য সেবা প্রদানেত্রুটি বিচ্যূতিসমূহ চিহ্নিত করা এবং উহা দূরীকরণের ব্যবস্থা করা;
(থ) ওয়ার্ডের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক-শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়ন;
(দ) যৌতুক, বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ ও এসিড নিক্ষেপের মত সামাজিক সমস্যা দূরীকরণে সামাজিক আন্দোলন গড়িয়া তোলা;
(ধ) জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কাযর্ক্রমে সহযোগিতা প্রদান করা;
(ন) আত্ম কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উৎসাহিত করা;
(প) সরকার বা পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদন।
(২)ওয়ার্ড সভা ইহার সাধারণ বা বিশেষ সভায় প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনপর্যালোচনা করিবে; তাছাড়া উপ-ধারা () এ উল্লিখিত উল্লেখযোগ্য কার্যাবলী, বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের বাজেট বিভাজন, কর্মপরিকল্পনা, খাত ভিত্তিক অর্থবরাদ্দ, প্রাক্কলন, সম্পাদিত ও সম্পাদিতব্য কাজের মালামাল ক্রয় বাবদ অর্থব্যয় ইত্যাদি বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে ওয়ার্ডের উন্মুক্ত দর্শনীয়স্থানে বোর্ডে লিখে টাঙ্গাইয়া দিবেন।
(৩) ওয়ার্ড সভায় অডিট রিপোর্টউপস্থাপন ও আলোচনা করিতে হইবে এবং এই বিষয়ে সভার মতামত ও সুপারিশ পরিষদেরবিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে হইবে।

(৪) ইউনিয়ন পরিষদের সচিবওয়ার্ড সভায় উপস্থিত থাকিয়া সভার কাযবিবরণী তৈরী ও গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহরেকর্ড করিবেন এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরবর্তী পরিষদ ও ওয়ার্ড সভায় উপস্থাপনকরিবেন।
(৫) ওয়ার্ড সভা কোন সাধারণ বা বিশেষ কাযার্দি সম্পন্ন করিবার উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-কমিটির সদস্য সংখ্যা ১০ (দশ) জনের অধিক হইবে না এবং তন্মধ্যে অন্যূন ৩ (তিন) জন মহিলা হইবেন ।
(৬)সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে ওয়ার্ড সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে যতদূরসম্ভব সাধারণ ঐক্যমতের এবং সভায় উপস্থিত মহিলাদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতেসিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বাঞ্চনীয় হইবে।
(৭) ওয়ার্ড সভা বিজ্ঞপ্তিআহবানের মাধ্যমে সম্ভাব্য উপকারভোগীদের নিকট হইতে প্রাপ্ত দরখাস্তসমূহতদন্ত করিয়া যাচাই বাছাইয়ের জন্য সভায় উপস্থাপন করিবে; সভায় যাচাই বাছাইয়েরপর নির্ধারিত নির্ণায়কের ভিত্তিতে উপকারভোগীদের চূড়ান্ত অগ্রাধিকার তালিকাপ্রস্তুত করা হইবে এবং উহা পরিষদের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করিতে হইবেঃ
তবেশর্ত থাকে যে, কোনরূপ অনিয়ম প্রমাণিত না হইলে পরিষদ ওয়ার্ড সভা কতৃর্কপ্রস্তুতকৃত ও প্রেরিত অগ্রাধিকার তালিকা পরিবর্তন করিতে পারিবে না।

 

ওয়ার্ড সভার দায়িত্ব

৭। (১) ওয়ার্ড সভা নিম্নলিখিত দায়িত্ব পালন করিবে,যথাঃ -
(ক) ওয়ার্ডের উন্নয়নমূলক ও জনকল্যাণমুখী কাযর্ক্রমের অগ্রগতি ও অন্যান্য তথ্যাদি সরবরাহ;
(খ)কৃষি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও পশুপালন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, যোগাযোগ, যুব উন্নয়ন, ইত্যাদি বিষয়ক উন্নয়নকর্মকান্ডে অংশগ্রহণ;
(গ) জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ অত্যাবশ্যকীয় আর্থ-সামাজিক উপাত্ত সংগ্রহ;
(ঘ) বৃক্ষ রোপণ ও পরিবেশ উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখা;
(ঙ)নারী ও শিশু নির্যাতন, নারী ও শিশু পাচার এবং যৌতুক, বাল্যবিবাহ ও এসিডনিক্ষেপ নিরোধ কাযর্ক্রম, দুনীর্তিসহ অন্যান্য সামাজিক অপকর্মের বিরূদ্ধেজনসচেতনতা সৃষ্টি করা;
(চ) ওয়ার্ডের আইন-শৃংখলা রক্ষাসহ সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা;
(ছ) জনগণকে কর, ফি, রেইট, ইত্যাদিসহ বিভিন্ন প্রকার ঋণ পরিশোধের জন্য উদ্বুদ্ধ করা;
(জ) স্থানীয় সম্পদের সংগ্রহ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পরিষদের সম্পদের উন্নয়নে সহায়তা করা;
(ঝ) স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক ও অন্যান্য সমাজগঠনমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে এবং সংগঠন তৈরীতে সহায়তা;
(ঞ) মহামারী ও প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবেলায় জরুরী ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ।
(২) ওয়ার্ড সভার কাযাবর্লী ও দায়িত্ব সম্পর্কে পরিষদকে রিপোর্ট প্রদান।


(৩)ধারা ৬ ও উপ-ধারা () এ বর্ণিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব ছাড়াও ওয়ার্ড সভা ক্ষেত্রবিশেষে বিশেষ সভা আহবানের জন্য পরিষদকে অনুরোধ করিতে পারিবে।

 

 

তৃতীয় অধ্যায়
পরিষদ

 

ইউনিয়নকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষণা

৮।এই আইনের অধীন ঘোষিত প্রত্যেকটি ইউনিয়নকে, সংবিধানের ১৫২() অনুচ্ছেদেরসহিত পঠিতব্য ৫৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এতদ্বারা প্রজাতন্ত্রেরপ্রশাসনিক একাংশ বলিয়া ঘোষণা করা হইল।

 

পরিষদ সৃষ্টি

৯।(১)এই আইন বলবৎহওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যমান সকল ইউনিয়ন পরিষদ এই আইনের বিধানঅনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ হিসাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(২)পরিষদ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটিসাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও বিধি সাপেৰে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবরউভয় প্রকার সমপত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবারক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে অথবা ইহারবিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে।
(৩) পরিষদ এই আইন দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা, কার্যাবলী এবং দায়িত্ব পালন করিবে।

 

পরিষদ গঠন

১০। (১) ইউনিয়ন পরিষদ ১ (এক) জন চেয়ারম্যান ও ১২ (বার) জন সদস্য লইয়া গঠিতহইবে যাহাদের ৯ (নয়) জন সাধারণ আসনের সদস্য ও ৩ (তিন) জন সংরৰিত আসনেরসদস্য হইবেন।

(২) উপ-ধারা () এর বিধান সাপেৰে, চেয়ারম্যান ও সাধারণ আসনের সদস্যগণ এই আইন ও বিধি অনুসারে প্রত্যৰ ভোটে নির্বাচিত হইবেন।

(৩)প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ৩(তিন)টি আসন সংরৰিতথাকিবে, যাহা সংরৰিত আসন বলিয়া অভিহিত হইবে এবং উক্ত সংরৰিত আসনের সদস্যগণওএই আইন ও বিধি অনুসারে প্রত্যৰ ভোটে নির্বাচিত হইবেন :

তবে শর্তথাকে যে, উপ-ধারা () এর বিধান অনুসারে ৯(নয়)টি সাধারণ আসনের সদস্যনির্বাচনে মহিলা প্রাথর্ীদের সরাসরি অংশগ্রহণকে বারিত করিবে না।

(৪) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্ত পরিষদের একজন সদস্য বলিয়া গণ্য হইবেন।

(৫) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কতর্ৃক নির্ধারিত সম্মানী পাইবেন।

(৬) এই আইনের অধীনে গঠিত প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নাম সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবে।

(৭) সরকার ইউনিয়নে কর্মরত সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপর পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ৰমতা প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারণ করিবে।

 

ইউনিয়ন গঠন

১১। (১) ডেপুটি কমিশনার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত পদ্ধতিতেকতকগুলি গ্রাম বা সংলগ্ন মৌজা বা গ্রামের সমন্বয়ে একটি ওয়ার্ড এবং ৯ (নয়)টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে একটি ইউনিয়ন ঘোষণা করিবেন।

(২) উপ-ধারা () এর অধীন ঘোষিত ইউনিয়ন ডেপুটি কমিশনার কতৃর্ক নির্ধারিত নামে অভিহিত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ইউনিয়নের নামকরণ কোন ব্যক্তির নামে হইবে না।

(৩)উপ-ধারা () অনুযায়ী জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ইউনিয়নের ওয়ার্ডসমূহের ক্রমিকনম্বর এবং উক্ত ওয়ার্ডের স্থানীয় সীমানা নির্দিষ্ট করিতে হইবে।
(৪) সরকার প্রত্যেক ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের লোক সংখ্যা নির্ধারণ করিবে।

(৫) ডেপুটি কমিশনার যেইরূপ অনুসন্ধান করা উপযুক্ত মনে করিবেন, সেইরূপ অনুসন্ধান করিয়া পরিষদ গঠন করিবার পর, প্রজ্ঞাপন দ্বারা-

(ক) কোন ওয়ার্ড হইতে যে কোন মৌজা বা গ্রাম বা উহার অংশ বিশেষ বাদ দিতে পারিবেন;
(খ) কোন ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডকে একাধিক ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে বিভক্ত করিতে পারিবেন; অথবা
(গ) কোন ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড এবং উহার সংলগ্ন এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করিয়া একটি ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পুনর্গঠন করিতে পারিবেন :

তবেশর্ত থাকে যে, উপ-ধারা() অনুসারে কোন ইউনিয়ন পরিষদ উহার এলাকাভুক্ত এবংবাতিলকৃত কোন ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব না থাকিবার কারণে উক্ত পরিষদ গঠনেরবৈধতা ৰুণ্ন হইবে না।

 

সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা নিয়োগ

১২। (১) উপজেলা নিবার্হী অফিসার ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যেপ্রজাতন্ত্রের চাকুরিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্য হইতে বিধি মোতাবেকপ্রয়োজনীয় সংখ্যক সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা ও সহকারী সীমানা নির্ধারণকর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবেন।

(২) সহকারী সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তার অধীনে কায সম্পাদন করিবেন ।

 

ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ

১৩। (১) ওয়ার্ডসমূহের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এলাকার ভৌগলিক অখণ্ডতা এবংজনসংখ্যার বিন্যাস ও প্রশাসনিক সুবিধাদির প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে[ ***]।
(২)সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা ওয়ার্ডসমূহের সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যেযেরূপ প্রয়োজন মনে করিবেন সেইরূপ রেকর্ডপত্র পরীক্ষা, তদন্ত এবংএতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে উপস্থাপিত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনা করিতে পারিবেন এবংপ্রস্তাবিত কোন্ এলাকা কোন্ ওয়ার্ডের অন্তভুর্ক্ত হইবে উহা উল্লেখ করিয়াওয়ার্ডসমূহের একটি প্রাথমিক তালিকা তাহার দফতর, বিভিন্ন স্তরভুক্ত পরিষদকাযার্লয় ও তিনি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ অন্যান্য উম্মুক্তস্থানে প্রকাশ করিবেন।

(৩) উপ-ধারা () এর অধীন প্রাথমিক তালিকাপ্রকাশের ১৫ (পনের) কায দিবসের মধ্যে তৎসম্পর্কে আপত্তি ও পরামর্শ দাখিলকরিবার আহবান সম্বলিত নোটিশ তাহার দফতর, বিভিন্ন স্তরভুক্ত পরিষদ কাযার্লয় ওতিনি যেরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ অন্যান্য উম্মুক্ত স্থানেপ্রকাশ করিবেন।
(৪) সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা () এর অধীনপ্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবেন; উপজেলা নিবার্হী অফিসার উক্তরূপ আপত্তি বা পরামর্শ প্রাপ্তির তারিখ হইতেঅনধিক ১৫ (পনের) কায দিবসের মধ্যে যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ তদন্তেরপর তাহার সিদ্ধান্ত সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তাকে জানাইবেন।
(৫)উপ-ধারা () অনুযায়ী উপজেলা নিবার্হী অফিসার কতৃর্ক প্রদত্ত সিদ্ধান্তঅনুসারে সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা () এর অধীন প্রকাশিত প্রাথমিকতালিকা সংশোধন, পরিবর্তন বা রদবদল করিবেন।
(৬) সীমানানির্ধারণ কর্মকর্তা উপ-ধারা () অনুযায়ী সংশোধন, পরিবর্তন বা রদবদল করিবারপর, তাহার দফতরে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ কাযার্লয়ে এবং তাহারবিবেচনানুসারে অন্য কোন স্থানে ওয়ার্ডসমূহের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করিবেনযাহাতে প্রতি ওয়ার্ডে অন্তভুর্ক্ত এলাকাসমূহ নির্দেশ করিতে হইবে।

(৭)উপ-ধারা () এর অধীন প্রকাশিত তালিকার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বাব্যক্তিবর্গ লিখিতভাবে ১০ (দশ) কায দিবসের মধ্যে ডেপুটি কমিশনারের নিকটআপিল দায়ের করিতে পারিবেন; ডেপুটি কমিশনার আপিলকারী ব্যক্তি বাব্যক্তিবর্গকে শুনানির সুযোগ দিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসারের সিদ্ধান্ত এবংসংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও তথ্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া আপিল দায়েরের ৩০ (ত্রিশ) কায দিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন এবং আপিল কতৃর্পক্ষহিসেবে ডেপুটি কমিশনারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

(৮)উপ-ধারা () এর অধীন আপিল কতৃর্পক্ষের সিদ্ধান্তের পর সীমানা নির্ধারণকর্মকর্তা ওয়ার্ডের সীমানার প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন বা রদবদল করিয়াঅথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপীল দায়ের করা না হইয়া থাকিলে সীমানা নির্ধারণকর্মকর্তা প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তভুর্ক্ত এলাকাসমূহ উল্লেখ করিয়াওয়ার্ডসমূহের চূড়ান্ত তালিকা তাঁহার দফতরে, পরিষদের কাযার্লয় ও তাঁহারবিবেচনানুসারে অন্য কোন প্রকাশ্য স্থান বা স্থানসমূহে প্রকাশ করিবেন এবংতিনি উক্ত তালিকার সত্যায়িত কপি উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট প্রেরণকরিবেন এবং তিনি উহা সরকারি গেজেটে প্রকাশের ব্যবস্থা করিবেন।

(৯)সংরক্ষিত আসনের সদস্য নিবার্চনের উদ্দেশ্যে, সীমানা নির্ধারণ কর্মকর্তা এইধারার অধীন কোন ইউনিয়নকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ওয়ার্ডে বিভক্তিকরণের সাথে সাথে, এই ধারার বিধানাবলী যথাসম্ভব অনুসরণ করিয়া, উক্ত ওয়ার্ডসমুহকে এইরূপসমন্বিত ওয়ার্ডরূপে চিহ্নিত করিবেন যেন এইরূপ সমন্বিত ওয়ার্ডের সংখ্যাসংরক্ষিত আসন সংখ্যার সমান হয়।

 

পরিষদের এলাকা রদবদলের ফল

১৪। (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন পরিষদ হইতে কোন একটি এলাকা সরকারিপ্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হইলে উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে উহা উক্তপরিষদের প্রশাসনিক অধিক্ষেত্র এবং সরকার যদি অন্যরূপ নির্দেশ না দিয়া থাকেতাহা হইলে, উক্ত পরিষদে বলবৎনিয়ম, আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপনের অধীনথাকিবে না।

(২) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন একটি এলাকা সরকারিপ্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অন্য কোন পরিষদের অন্তভুর্ক্ত করা হইলে উক্তপ্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে উহা উক্ত পরিষদের প্রশাসনিক অধিক্ষেত্র এবং সরকারযদি অন্যরূপ নির্দেশ না দিয়া থাকে তাহা হইলে, উক্ত পরিষদে বলবৎনিয়ম, আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপনের অধীন থাকিবে।

(৩) এই আইনেরবিধান অনুযায়ী কোনএকটি পরিষদের এলাকাকে দুই বা ততোধিক পরিষদে বিভক্ত করা হইলে উক্তএলাকাসমূহকে পৃথক পৃথক পরিষদ হিসাবে পুনর্গঠিত করিতে হইবে এবং অনুরূপভাবেবিভক্ত পরিষদ নবগঠিত পরিষদের অন্তভুর্ক্ত হওয়ার তারিখ হইতে আর বিদ্যমানথাকিবে না।

(৪) এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোন এলাকাকে কোন পরিষদেরসঙ্গে একীভূত করা হইলে অথবা দুই বা ততোধিক পরিষদকে একটি মাত্র পরিষদ গঠনেরজন্য একীভূত করা হইলে উক্তরূপ পুনর্গঠন দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ পরিষদ বাপরিষদসমূহের সম্পত্তি, তহবিল, দায়দায়িত্ব, ইত্যাদি নির্ধারিত কতৃর্পক্ষকতৃর্ক লিখিত আদেশ দ্বারা যেরূপ নির্ধারিত হইবে, সেইরূপ বিভাজন অনুসারে, নির্ধারিত পরিষদ বা পরিষদসমূহে বর্তাইবে এবং উক্তরূপ নির্ধারণ চূড়ান্তহইবে।

(৫) উপ-ধারা () অনুযায়ী প্রদত্ত কোন আদেশে উক্তরূপ পুনর্গঠনকাযর্কর করিবার জন্য যেরূপ আবশ্যক হইবে সেইরূপ পরিপূরক, আনুষঙ্গিক ওপারিণামিক (Consequential) বিধানাবলী থাকিতে পারিবে; তবে উপ-ধারা ()অনুযায়ী বিভক্তিকরণের পর বা উপ-ধারা () অনুযায়ী একীভূতকরণের পর, পরিষদপুনর্গঠনের প্রয়োজনে-

(ক) পূবর্তন পরিষদের সদস্যগণের পদের মেয়াদউত্তীর্ণ না হওয়া পযর্ন্ত নবগঠিত পরিষদ বা পরিষদসমূহে সাধারণ নিবার্চনঅনুষ্ঠিত করা যাইবে না;

(খ) যে সকল সদস্যের পদের মেয়াদ অনুত্তীর্ণথাকিবে সে সকল সদস্য সরকার বা তৎকতৃর্ক ক্ষমতা প্রাপ্ত কতৃর্পক্ষেরআদেশক্রমে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা সেই সকল নিবার্চনী এলাকা নিয়াগঠিত (সম্পূর্ণ বা আংশিক) পরিষদের সদস্য হিসাবে ঘোষিত হইবেন; যে সকলনিবার্চনী এলাকা হইতে উক্ত সদস্যগণ পূবের পরিষদসমূহে নিবার্চিত হইয়াছিলেনএবং এইরূপ যে কোন সদস্য তাঁহার পদের মেয়াদের অনুত্তীর্ণ অংশের জন্য নবগঠিতপরিষদের পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন।

 

কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা অংশ বিশেষ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদিতে অন্তভুর্ক্তির ফল

১৫। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা ইহার অংশবিশেষ পৌরসভায় বা সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত বা কোন বিদ্যমান পৌরসভায়বা সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত ইউনিয়ন বা ইহার অংশবিশেষকে পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্তপ্রচলিত আইনে বর্ণিত শর্তসমূহ পূরণ করিতে হইবে:

আরো শর্ত থাকে যে, পৌর এলাকা বা সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হইবার পরউক্ত এলাকার সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিঅনূধব ১ (এক) মাসের মধ্যে উক্তরূপ ঘোষণার বিরুদ্ধে সরকারের নিকট লিখিতআপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবে; উত্থাপিত আপত্তি সম্পর্কে সরকার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পৌর এলাকা বা সিটিকর্পোরেশন গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।

(২) যদি কোনসময়ে, কোন ইউনিয়ন পরিষদের সমগ্র এলাকা উক্ত সময়ে বলবৎকোন বিধি অনুযায়ী কোনপ্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা কোন ক্যান্টনমেন্টবোর্ডের প্রশাসনিক এলাকাভুক্ত করা হয়, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, উক্ত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে বা প্রজ্ঞাপনে যেরূপনির্দিষ্ট হইবে সেইরূপ তারিখ, বা যে তারিখে নবগঠিত সংস্থাটির নিবার্চনসমূহসম্পন্ন হয় সেই তারিখ, ইহাদের মধ্যে যাহা আগে হইবে, উক্ত তারিখ হইতে আরবিদ্যমান থাকিবে না এবং যে সকল সম্পত্তি, তহবিল ও অন্য পরিসম্পদ উক্তপরিষদে বর্তাইয়াছিল তৎসমূহ এবং উক্ত পরিষদের সকল অধিকার ও দায়দায়িত্বক্ষেত্রানুযায়ী সংশ্লিষ্ট পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্টবোর্ডের নিকট সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের আদেশানুযায়ী বর্তাইবে ও হস্তান্তরিতহইবে এবং উক্ত পরিষদের অধীনে নিযু্ক্ত ব্যক্তিগণ তাহাদের অভিপ্রায়েরভিত্তিতে ও নিয়োগের শর্তানুযায়ী যোগ্য বিবেচিত হইলে যে তারিখে উক্ত পরিষদআর বিদ্যমান থাকিবে না সেই তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা সিটিকর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডে নিয়োজিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩)যদি কোন সময়ে, কোন পরিষদের অংশ বিশেষ উক্ত সময়ে বলবৎকোন বিধি অনুযায়ী কোনপ্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা কোন ক্যান্টনমেন্টবোর্ডের প্রশাসনিক এলাকাভুক্ত করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পরিষদের অংশ, উক্তপ্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে বা প্রজ্ঞাপনে যেরূপ নির্দিষ্টহইবে সেইরূপ তারিখ, বা যে তারিখে নবগঠিত সংস্থাটির নিবার্চনসমূহ সম্পন্ন হয়সেই তারিখ, ইহাদের মধ্যে যাহা আগে হইবে, উক্ত তারিখ হইতে হ্রাসপ্রাপ্তহইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; অনুরূপভাবে অন্তভুর্ক্তকৃত পরিষদের অংশ বিশেষেরসকল সম্পত্তি, তহবিল ও অন্য পরিসম্পদ এবং উক্ত পরিষদের সকল অধিকার ওদায়দায়িত্ব ক্ষেত্রানুযায়ী সংশ্লিষ্ট পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বাক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিকট সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের আদেশানুযায়ী বর্তাইবে ওহস্তান্তরিত হইবে এবং সরকার অন্যরূপ নির্দেশ না দিলে, ক্ষেত্রানুযায়ী, উক্তপৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধিক্ষেত্রাধীন (Jurisdiction) এলাকার জন্য বলবৎসকল নিয়ম, আদেশ, নির্দেশ ও প্রজ্ঞাপন উক্তপরিষদ এলাকার যে অংশ উক্তরূপে অন্তভুর্ক্ত হয় সেই অংশের ক্ষেত্রেওপ্রযোজ্য হইবে।

 

পৌরসভা, ইত্যাদির সমগ্র বা আংশিক এলাকা নিয়া ইউনিয়ন পরিষদ গঠন

১৬।পৌরসভা, ইত্যাদির সমগ্র বা আংশিক এলাকা নিয়া ইউনিয়ন পরিষদ গঠন।- (১) যদিসরকার মনে করে যে, কোন পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডেরসমগ্র এলাকা বা উহার কোন অংশ বিশেষের রূপরেখা পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছে এবংউহার অধীনে এক বা একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত প্রজ্ঞাপনের প্রাক-প্রকাশনার পর-

(ক) উক্তরূপ এলাকাকে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করিয়া কোন বিদ্যমান ইউনিয়ন পরিষদের অন্তভুর্ক্ত করিতে পারিবে; বা
(খ) উক্তরূপ এলাকায় এক বা একাধিক ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করিতে পারিবেঃ

তবেশর্ত থাকে যে, উক্ত প্রাক-প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনটি গণ-বিজ্ঞপ্তি আকারে অন্ততঃদুইটি বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় (স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত একটিপত্রিকাসহ) এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ অফিস ওস্থানসমূহে প্রকাশ করিতে হইবে, যাহাতে উক্ত প্রকাশনার তারিখ হইতে দুই মাসেরমধ্যে আপত্তি উত্থাপনের আহবান জানানো হইবে এবং সরকার কতৃর্ক নিযুক্ত কোনকতৃর্পক্ষ আপত্তি উত্থাপনকারী বা উত্থাপনকারীদের শুনানির সুযোগ দিয়াপ্রাপ্ত আপত্তি বিবেচনা করিয়া সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশনার তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনেরমধ্যে প্রজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন অনুষ্ঠিত করিতেহইবে এবং উক্তরূপ নিবার্চন সমাপ্তির তারিখ হইতে, উক্তরূপ এলাকা, ক্ষেত্রানুযায়ী, উক্তরূপে নির্দিষ্ট বা গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের অন্তভুর্ক্তবলিয়া গণ্য হইবে, এবং উক্তরূপে প্রজ্ঞাপিত এলাকার পৌরসভা বা সিটিকর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এর অংশ হিসেবে আর বিদ্যমান থাকিবে না।

(৩) উপ-ধারা () এ উল্লিখিত এলাকা যে তারিখ হইতে ইউনিয়ন পরিষদের অন্তভুর্ক্ত করা হয় সেই তারিখ হইতে -

(ক)সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের যে এলাকাউক্তরূপে অন্তভুর্ক্ত হয় সেই এলাকা সম্পর্কিত সম্পত্তি, তহবিল ও দায়দায়িত্বসংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক যেরূপ নির্ধারিত হইবে সেইরূপ বিভাজন অনুসারেইউনিয়ন পরিষদে বর্তাইবে ও উহার নিকট হস্তান্তরিত হইবে; এবং

(খ)উক্তরূপে অন্তভুর্ক্ত এলাকা সম্পর্কিত ব্যক্তিগণের মধ্যে যাহারা পৌরসভা বাসিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কতৃর্ক নিয়োজিত, তাহারা সংশ্লিষ্টইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত থাকিবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিলে নির্ধারিত বিধিঅনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োজিত বলিয়া গণ্য হইবে।

 

নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দুযোর্গ, ইত্যাদি কারণে পরিষদ পুনর্গঠন

১৭।কোন পরিষদের অন্তভুর্ক্ত সম্পূর্ণ এলাকা বা আংশিক অংশ নদী ভাঙ্গন অথবাঅন্য কোন প্রাকৃতিক দুযোর্গের কারণে বিলীন বা বিলুপ্ত হইয়া গেলে সরকার, উক্ত পরিষদ বিধি অনুযায়ী বাতিল বা পুনর্গঠন করিবে এবং পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেনতুন পরিষদ গঠন না হওয়া পযর্ন্ত বিদ্যমান পরিষদ এই আইনের বিধান অনুযায়ী সকলকাযর্ক্রম পরিচালনা করিবে।

 

প্রশাসক নিয়োগ

১৮। (১) কোন এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর ইহার কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকারএকজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করিবে এবং এই আইনের বিধানমোতাবেক নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদেরযাবতীয় দায়িত্ব পালন করিবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা () এর অধীন নিযুক্ত প্রশাসক ১২০ (একশত বিশ) দিনের অধিক সময় কাল দায়িত্বে থাকিতে পারিবেন না :
আরোশর্ত থাকে যে, কোন দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এই আইনের বিধান মোতাবেকনির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হইলে সরকার উক্ত মেয়াদ অনধিক ৬০ (ষাঁট)দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবে।
(২) সরকার প্রশাসককে কর্মসম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
(৩) প্রশাসক এবং কমিটির সদস্যবৃন্দ, যথাক্রমে, চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।

 

 

চতুর্থ অধ্যায়
চেয়ারম্যান সদস্য নিবার্চন

 

ভোটার তালিকা ভোটাধিকার

১৯। (১) প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত একটি ভোটার তালিকা থাকিবে।

(২) কোন ব্যক্তি কোন ওয়ার্ডের ভোটার তালিকাভুক্ত হইবার অধিকারী হইবেন, যদি তিনি-

(ক) বাংলাদেশের একজন নাগরিক হন;
(খ) আঠারো বৎসরের কম বয়স্ক নহেন;
(গ) কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত নহেন;
(ঘ) সংশিষ্ট ওয়ার্ডের অধিবাসী বা অধিবাসী বলিয়া গণ্য হন।
(৩)কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকায় যে ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত হইবেন, তিনি সেইওয়ার্ডের সদস্য এবং চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোট প্রদান করিতে পারিবেন।

 

নির্বাচন পরিচালনা,

ইত্যাদি

২০। (১) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রণীত বিধি অনুসারে নির্বাচন কমিশন পরিষদেরচেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচনের আয়োজন, পরিচালনা ও সমপাদন করিবে এবংঅনুরূপ বিধিতে নির্বাচন কমিশন নিম্নরূপ সকল বা যে কোন বিষয়ের বিধান করিতেপারিবে, যথা :-

(ক) নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ এবংতাহাদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব;
(খ) প্রার্থীদের মনোনয়ন, মনোনয়নের ক্ষেত্রে আপত্তি এবং মনোনয়নপত্র বাছাই;
(গ) প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত জামানত গ্রহণ এবং উক্ত জামানত ফেরত প্রদান বা বাজেয়াপ্তকরণ;
(ঘ) প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও প্রতীক বরাদ্দ;
(ঙ) প্রার্থীদের এজেন্ট নিয়োগ;
(চ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে নির্বাচন পদ্ধতি;
(ছ) ভোট গ্রহণের তারিখ, সময়, স্থান এবং নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়;
(জ) ভোটদান পদ্ধতি;
(ঝ) প্রাপ্ত ভোট বাছাই ও গণনা, ফলাফল ঘোষণা এবং সমান সংখ্যক ভোট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি;
(ঞ) ব্যালট পেপার ও নির্বাচন সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্রের হেফাজত ও বিলি বন্টন;
(ট) যে অবস্থায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা যায় এবং পুনরায় ভোট গ্রহণ করা যায়;
(ঠ) প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় এবং এতদসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়;
(ড)নির্বাচনে দুর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ এবং অন্যান্য নির্বাচনী অপরাধএবং উহার দন্ড এবং প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের আচরণ ও আচরণ বিধি ভংগেরদন্ড;
(ঢ) নির্বাচনী বিরোধ এবং উহার বিচার ও নিষপত্তি;
(ণ) অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ, ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ, মামলার মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়াদি;
(ত) ভোট গ্রহণের দিন নির্বাচন সংক্রানত্দ দায়িত্ব পালনরত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের গ্রেফতার করার ক্ষমতা; এবং
(থ) নির্বাচন সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়।
(২) কোন ব্যক্তি, উপ-ধারা () এর দফা () এ উলিস্নখিত-
(ক)নির্বাচনে দূর্নীতিমূলক বা অবৈধ কার্যকলাপ করিলে তিনি অনূ্যন ৩ (তিন) বৎসরকারাদন্ড অথবা অনধিক ১০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিতহইবেন;
(খ) নির্বাচনী অপরাধ করিলে তিনি অনূ্যন ৬ (ছয়) মাস এবং অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড দন্ডিত হইবেন; এবং

(গ)আচরণ বিধির কোন বিধান লংঘন করিলে তিনি অনূ্যন ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ড অথবাঅনধিক ১০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।

 

নিবার্চনী ফলাফল প্রকাশ

২১। চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসাবে নিবার্চিত সকল ব্যক্তির নাম নিবার্চন কমিশন, যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে।

 

 

পঞ্চম অধ্যায়
নিবার্চনী বিরোধ

 

নিবার্চনী দরখাস্ত দাখিল

২২। (১) এই আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নিবার্চন বা গৃহীত নিবার্চনী কাযর্ক্রমবিষয়ে নিবার্চন ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত কোন আদালত বা অন্য কোন কতৃর্পক্ষেরনিকট আপত্তি উত্থাপন করা যাইবে না।
(২) কোন নিবার্চনের প্রাথীব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি উক্ত নিবার্চন বা নিবার্চনী কাযর্ক্রম বিষয়েআপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করিয়া নিবার্চন ট্রাইব্যুনালে আবেদনকরিতে পারিবেন না।
(৩) এই আইনের ধারা ২৩ এর অধীন গঠিত নিবার্চন ট্রাইব্যুনালের বরাবরে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবার্চনী অভিযোগপত্র পেশ করিতে হইবে।
(৪) কোন আদালত -
(ক) পরিষদের কোন চেয়ারম্যান বা সদস্যের নিবার্চন মুলতবী রাখিতে;
) এই আইন অনুযায়ী নিবার্চিত কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যকে তাঁহার দায়িত্ব গ্রহণে বিরত রাখিতে ;
(গ) এই আইন অনুযায়ী নিবার্চিত কোন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যকে তাঁহার কাযার্লয়ে প্রবেশ করা হইতে বিরত রাখিতে-

নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবে না।

২৩। (১) এই আইনের অধীনে নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেনির্বাচন কমিশন, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের দ্বারা, একজন উপযুক্তপদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচনীট্রাইব্যুনাল এবং একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও একজনউপযুক্ত পদমর্যাদার নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যকনির্বাচনী আপিল ট্রাইবু্যনাল গঠন করিবে।

(২) কোন সংৰুদ্ধ ব্যক্তিনির্বাচিত চেয়ারম্যান বা সদস্য বা সদস্যগণের নাম সরকারী গেজেটে প্রকাশেরপরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্বাচনী ট্রাইবুনালে নির্বাচনী দরখাস্তদায়ের করিতে পারিবেন।

(৩) উপ-ধারা () অনুযায়ী গঠিত ট্রাইবুন্যালপরিষদের নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোন দরখাস্ত, উহা দায়ের করিবার ১৮০ (একশতআশি) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে।

(৪) নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালেররায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্বাচনী আপিলট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।

(৫) উপ-ধারা () অনুযায়ী গঠিত নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল আপিল দায়ের করিবার ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে।

(৬) নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

 

 

 

নির্বাচনী দরখাস্ত আপিল বদলীকরণের ক্ষমতা

 

২৪।নির্বাচনকমিশন নিজ উদ্যোগে অথবা পক্ষগণের কোন এক পক্ষ কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে পেশকৃতআবেদনের প্রেক্ষিতে যে কোন পর্যায়ে একটি নির্বাচনী দরখাস্ত এক ট্রাইব্যুনালহইতে অন্য ট্রাইব্যুনালে অথবা একটি আপিল ট্রাইব্যুনাল হইতে অপর একটি আপিলট্রাইব্যুনালে বদলী করিতে পারিবে এবং যে ট্রাইব্যুনালে বা আপিলট্রাইব্যুনালে তাহা এইরূপ বদলী করা হয় সেই ট্রাইব্যুনাল বা আপিলট্রাইব্যুনাল উক্ত দরখাস্ত বা আপিল যে পর্যায়ে বদলী করা হইয়াছে সেই পর্যায়হইতে উহার বিচারকার্য চালাইয়া যাইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচনীদরখাস্ত যে ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হইয়াছে সেই ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনেকরিলে ইতিপূর্বে পরীক্ষিত কোন সাক্ষী পুনরায় তলব বা পুনরায় পরীক্ষা করিতেপারিবে এবং অনুরূপভাবে আপিল ট্রাইব্যুনালও এই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।

<--break- />